২০ আগস্ট ২০২৪ তারিখের পত্রিকান্তরে একটি সংবাদপ্রতিবেদেনের শিরোনাম করা হয়েছে, “বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে যারা, স্বৈরাচারিদের দোসর তারা”। সংবাদপ্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “অন্যায়, অনিয়ম, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসদুল্লাহ আল গালিব।
সোমবার দুপুর দেড়টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহরের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সুনামগঞ্জের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এই আহ্বান জানান। [...] তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে না পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ ভুলে গিয়ে আমরা একতাবদ্ধভাবে লড়াই করেছি। ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য লড়াই করিনি। আমরা লড়াই সংগ্রাম করেছি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের জন্য। নিজেদের মধ্যে বিভক্তি, গ্রুপিং, বিতর্কের সৃষ্টি করলে বিপ্লবের ফসল ঘরে তুলতে পারবো না। এখন আমাদের পড়াশোনায় ফিরে যেতে হবে। নিজ নিজ ক্যাম্পাস থেকে নতুন বাংলাদেশ গড়ার কাজ করতে হবে।” তাছাড়া সভায় ঘোষণা কার হয়, “ছাত্র-জনতার সরকারের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়ন করতে দেশের প্রতিটি সেক্টরকে সংস্কার করার জন্য আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছি। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তারাই স্বৈরাচারিদের দোসর।”
এইসব কথার বিরোধিতা করার প্রশ্নই উঠে না। কারণ দেশের মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য তাঁদেরকে শান্তি, সুখ, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য এইসব কথার সামাজিক রাজনীতিক বাস্তবায়ন চাই অবশ্যই, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
কেউ কেউ মনে করেন, বিগত সাত দশকে আমাদের দেশের আর্থসামাজিক বিন্যাসকাঠামোটির পরিসরে সবচেয়ে আগ্রাসী মহলের প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতিক ধারার বিকাশ ও তার প্রতিষ্ঠা অর্জিত হয়েছে, যা এই দেশে ফ্যাসিবাদী একনায়কত্বের জনক এবং মানুষে মানুষে বৈষম্য সৃষ্টিকারী আর্থনীতিক বাস্তবতার ভিত্তি, সকল প্রকার বৈষম্য. শোষণ ও নিপীড়নের উৎস। তাই বাংলাদেশে মানুষের গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে ‘সেক্টর সংস্কার’ আন্দোলনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্যে অবশ্য প্রয়োজনীয় রাজনীতিক, আর্থনীতিক ও সামাজিক পরিবর্তনগুলো সম্ভব করে তোলতে পারে এমন মূর্তনির্দিষ্ট একটি আর্থব্যবস্থা বাস্তবায়িত করতে হবে। সে-জন্য অবশ্যই রাজনীতিক পার্টি ও তার রণকৌশল বাস্তবায়নের জন্য দক্ষ বাহিনী প্রয়োজন।